মানবতার সেবক হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান,বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
শেখ রাজীব হাসান,গাজীপুরঃ
একজন আদর্শবান,শিক্ষানুরাগী,আত্ম মানবতার সেবক ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উজ্জ্বল নক্ষত্র,অসহায় মানুষের কাছে যিনি জনপ্রিয় ব্যক্তি।সর্বদাই যিনি অসহায় মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।তিনি কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সরকার পরিবারের মোঃ হাসান আলী সরকারের সূর্য সন্তান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে গত ১বছর ৭মাস যাবত সার্জনের দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া তিনি মৃত বোনের স্বপ্ন পুরণে ডাঃ হাছনা হেনা ফাউন্ডেশন নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিচালনা করছেন।যাদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য নেই,তাদের থাকা-খাওয়া,ঘর-বাড়ি,চিকিৎসা খরচ দিচ্ছেন।টাকার অভাবে যেসব মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না,তাদের নগদ অর্থ সহায়তা করে যাচ্ছেন।
অর্থাভাবে যেন কারো লেখাপড়া বন্ধ না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত অর্থ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।প্রতি বছর হতদরিদ্র শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।সাধারণ মানুষের আপদে-বিপদে সর্বক্ষণ তিনি পাশে দাঁড়ান,তার কাছে এসে আজও কেউ নিরাস হয়ে খালি হাতে ফিরে যাননি।বয়স্ক,প্রতিবন্ধী ও বিধবাদের দিচ্ছেন আর্থিক ও মানবিক সাহায্য।তাই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে জনসেবক আদর্শবান মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।এছাড়াও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,মসজিদ,মাদ্রাসা,ওয়াজ মাহফিলে পর্যাপ্ত পরিমাণের অর্থ দান করছেন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ক্লাব,সংঘ,খেলাধুলা,আচার-অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাহিদামত অর্থ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মানবতার সেবক জাহাঙ্গীর আলম প্রয়াত বোনের নামে প্রতিষ্ঠিত ডাঃ হাছনা হেনা ফাউন্ডেশনে তার নিজস্ব অর্থায়নে দীর্ঘদিন অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহায়তা দিয়েছেন এবং বর্তমান সময়ে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারনে সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের অসহায় মানুষ যখন দিশেহারা তখন দেশের এ কঠিন সময়ে অসহায় কর্মহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রথমধাপে খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, তেল পিয়াজ,আলু লবনসহ নগদ অর্থ প্রদান করেন। এছাড়া সড়কে যাতায়েত কারী পথচারী, যাত্রী, ও চালকদের মাঝে পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিডাইজার বিতরণ করেন।
প্রায় সময়ে সরোজমিনে দেখা যায়,অসহায় পথশিশু,বৃদ্ধাকে নিয়ে মহল্লার হোটেলে খাওয়া দাওয়া করছেন। বৃদ্ধ রিকশা, ভ্যান, সিএনজি চালকের গাড়ি ঢেলছেন, নিজ অর্থায়নে মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে গর্তের মধ্যে বালি ফেলছেন।মহাসড়কে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে থাকা মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন, সুস্থ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের দেখাশোনা করছেন। রাস্তায় হেটে যাওয়া অসহায়দের ডেকে এনে কাপড় কিনে দিচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম সকালের সময়কে জানান,আমার খুব আদরের বোন ছিলো ডাঃ হাছনা হেনা।আমরা দুই ভাই বোন মিলে স্বপ্ন দেখেছিলাম এমন একটা আশ্রম করবো যেখানে ব্রদ্ধাশ্রম,এতিমখানা হবে পথ শিশুরা এখানে থেকে পড়াশুনা করে নিজেদের ভবিষ্যত তৈরি করবে। কিন্তু আমার বোন হঠাত স্টোক করে মৃত্যুবরণ করে।আমি শত পরিশ্রমের মাঝে মৃত বোনের স্বপ্ন পূরণে আমার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে একটি জায়গা ব্যবস্থা করেছি।কিছুদিনের মধ্যে ওই জায়গায় বাওন্ডারির কাজ শুরু করবো।আসলে অসহায় মানুষদের সহযোগীতা করতে আমার ভালো লাগে।আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন মৃত বোনের স্বপ্ন পুরণ করতে পারি।